শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.2633-এর গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল অতিক্রম করতেও ব্যর্থ হয়েছে। ব্রিটিশ মুদ্রা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কারণে দরপতনের শিকার হয়নি; প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাজ্যে দিনের তিনটি মূল প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি প্রতিবেদনের ফলাফলই পূর্বাভাস এবং পূর্ববর্তী ফলাফল উভয়কেই অতিক্রম করেছে। আমরা ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই প্রতিবেদন এবং খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের কথা বলছি। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত ছিল, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উভয় ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ছিল, কিন্তু মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে এই পেয়ারের দরপতন হয়নি। আরেকদিন ব্রিটিশ মুদ্রার ক্ষেত্রে একই ধরনের মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও, আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের সভার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল, যাকে ডোভিশ বা নমনীয় হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। যদি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হকিস বা কঠোর হয়, তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল, পতন নয়। কিন্তু, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, এখন পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট পিছনে কোন যৌক্তিকতা নেই।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে, মূল্য ক্রমাগত দিক পরিবর্তন করছে, এবং সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল 52 পিপস। নতুন ট্রেডাররা বৃহস্পতিবার থেকে শর্ট পজিশন ধরে রাখতে পারত, কারণ মূল্য 1.2684-1.2693-এর রেঞ্জ অতিক্রম করেছে৷ আমরা সাধারণত পরের দিন দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করার পরামর্শ দিই না, কিন্তু সেই সময়ে, অস্থিরতার মাত্রা এত কম ছিল যে অন্য কোনও বিকল্প ছিল না। শুক্রবার তিনটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। প্রথম দুটি সিগন্যাল এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দিকে পরিচালিত করেনি এবং তৃতীয়টি এতটাই ভুল ছিল যে এটি কার্যকর করা উচিত ছিল না।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যদিও মাসব্যাপী ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বাতিল করা যায়নি। এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনার ব্যাপারে বলতে গেলে, এটা একটা ভালো জিনিস যে মূল্য 1.2693 এর লেভেল দুইবার অতিক্রম করতে পেরেছে; যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও প্রায়শই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রতিরোধ করছে, এমনকি প্রযুক্তিগত, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণের উপস্থিতিতেও এই ধরনের পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপরন্তু, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা দুর্বল ছিল, এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
সোমবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের অনিয়মিত এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের আবার স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার পরিলক্ষিত হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের আরও কমার কারণ আছে, কিন্তু দিনের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট কাঙ্খিত হওয়ার মতো অনেক কিছু রেখে গেছে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়নি। অতএব, ট্রেডাররা সম্ভবত আরেকটি "বিরক্তিকর সোমবার" দেখতে পাবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।