সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, যেগুলোকে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই প্রতিবেদনের মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া উস্কে সম্ভাবনা নেই। ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। যাইহোক, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ইউরোর তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতি নমনীয়করণ চক্র শুরু করেছে, তাই মুদ্রাস্ফীতি যে হারে কমছে তা আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। তদুপরি, মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করতে আগ্রহী নয়, যেমনটি আমরা গতকাল জার্মান মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও দেখতে পেয়েছি।
আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স এবং JOLTs থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উভয় প্রতিবেদনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন করে মার্কিন ডলার বিক্রির শুরু করার কারণ খুঁজবে। যেমনটি আমরা গতকাল দেখেছি, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতাও ডলারকে বিশেষভাবে সাহায্য করেনি।
মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা:
মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইসাবেল শ্নাবেলের বক্তৃতা সহ ফেডের প্রতিনিধিদের বক্তৃতাগুলোর কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা যায়। গত সপ্তাহে, FOMC-এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর পক্ষে কথা বলেছেন, কিন্তু পাওয়েল এবং তার কিছু সহকর্মী বলেছেন যে এই ধরনের আক্রমনাত্মকভাবে সুদের হার কমানোর প্রয়োজন নেই। যাই হোক না কেন, সবকিছুই আসন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে এবং এখন থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সুদের হার হ্রাসের পরিমাণ নিয়ে আলোচনা করা যুক্তিযুক্ত নয়। তবুও, FOMC-এর অন্যান্য প্রতিনিধিদের অবস্থান আর্থিক কমিটির সামগ্রিক অবস্থান সম্পর্কে একটি ধারণা দেবে।
উপসংহার:
নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরোর মূল্য 1.1091 এবং 1.1191 এর মধ্যে অবস্থিত একটি সীমিত রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে। কোন কিছুই পাউন্ড স্টার্লিংকে আটকে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না, এবং এটির মূল্য ইউরোর তুলনায় অনেক বেশি ঘন ঘন বৃদ্ধি পায় এবং মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিও তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারছে না। অতএব, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। ট্রেডাররা মার্কিন প্রতিবেদনে নতুন করে ডলার বিক্রির ন্যায্যতা দেওয়ার অজুহাত খুঁজবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।