বোয়িং 747-200B (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত বিমানটির মূল্য $660 মিলিয়ন, যা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রেসিডেনশিয়াল এয়ারক্র্যাফট। এই বোয়িং বিমানটির ভিতরে একটি কনফারেন্স রুম, ডাইনিং এরিয়া, প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির জন্য প্রাইভেট অ্যাপার্টমেন্ট, সিনিয়র স্টাফদের জন্য অফিস স্পেস এবং একটি মেডিকেল অফিস রয়েছে যা অপারেটিং রুম হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।371.6 বর্গ মি. জায়গাসম্পন্ন বিমানটি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি উড়ন্ত রিফুয়েলিং সক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত।

এয়ারবাস A380 (সৌদি আরব)

বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ব্যক্তিগত বিমানটি একসময় সৌদি যুবরাজ আল-ওয়ালিদ বিন তালাল আল সৌদের মালিকানায় ছিল। 2007 সালে, তিনি $400 মিলিয়নে এয়ারবাস A380 ক্রয় করেছিলেন। যাইহোক, এটি কেবলমাত্র শুরু ছিল। পরে তিনি বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র আপগ্রেডের জন্য আরও $200 মিলিয়ন খরচ করেছেন, যার মোট খরচ $600 মিলিয়নে পৌঁছেছে। এই উড়ন্ত প্রাসাদে ভিআইপি স্যুট থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড পিয়ানো এমনকি এটিতে একটি কনসার্ট হলও রয়েছে, যা এই রাজকুমারের বিলাসবহুল জীবনধারাকে প্রতিফলিত করে। পরে কোন এক অজানা ক্রেতার কাছে বিমানটি বিক্রি করা হয়।

এয়ারবাস A340-600 (জর্ডান)

জর্ডানের রাজা বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল এবং ব্যয়বহুল ব্যক্তিগত বিমানের মালিক, যার মূল্য $275 মিলিয়ন। এয়ারবাস A340-600 চারটি রোলস-রয়েস ট্রেন্ট 500 ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, যা উচ্চ কার্যক্ষমতা এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে পরিচিত- যা এটিকে দূর-দূরান্তের ফ্লাইটের জন্য অপরিহার্য করে তুলেছে। এই বিমানটির ইন্টেরিয় সর্বোচ্চ আরামদায়ক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, এতে একাধিক বেডরুম, প্রশস্ত কাজ এবং বিশ্রামের জায়গা এবং উন্নত ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

বোয়িং 777-300ER (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী $260 মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি বোয়িং 777-300ER বিমানে চড়ে ভ্রমণ করতেন। পারফরম্যান্স এবং বিলাসিতার দিক থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বিমান। বোয়িং 777-300ER শক্তিশালী জেনারেল ইলেকট্রিক GE90-115B ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত, যা দূরপাল্লার ফ্লাইট সক্ষমতা প্রদান করে। বিমানটির ভিতরে, একটি বড় কনফারেন্স রুম, এন-স্যুট বাথরুম সম্পন্ন প্রধানমন্ত্রীর বেডরুম, গেস্টরুম, একটি লাউঞ্জ এরিয়া, ছোট একটি মুভি থিয়েটার, ডাইনিং রুম এবং রান্নাঘর রয়েছে।

এয়ারবাস A340-313 ভিআইপি (জার্মানি)

অনানুষ্ঠানিকভাবে "কনরাড অ্যাডেনাউয়ার" নামে পরিচিত এই বিমানটি দিয়ে বছরের পর বছর জার্মান চ্যান্সেলররা ভ্রমণ করতেন, যদিও এটি মূলত একটি যাত্রীবাহী বিমান হিসাবে কার্যক্রম শুউর করেছিল। জার্মান সরকার এটিকে লুফথানসার কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল ও বিমানটির অভ্যন্ত্যরীণ অংশ পরিবর্তন করেছিল। 375 জন যাত্রীর বসার সিট সরিয়ে সেখানে সরকারি ব্যবহারের জন্য সকল সুযোগ-সুবিধা স্থাপন করা হয়৷ এই এয়ারবাস বিমানটিতে এখন বিলাসবহুল বেডরুম, অফিস স্পেস, একটি কনফারেন্স রুম এবং একটি মোবাইল কমান্ড সেন্টার রয়েছে। 2023 সালে, $260 মিলিয়ন ডলার মূল্যের বিমানটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বাতিল করা হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি নিলামের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।